#এইসব দিনগুলি ৬
#এইসব_দিনগুলি_৬
ঘুম থেকে উঠতেই বেজে গেল ১১ টা।আজকাল বেশ ভালো ঘুম হচ্ছে।সকালের নাস্তা পরোটা ডিমভাজি আর চা।আহামরি কিছুনা কিন্তু বেশ লাগলো। বিশেষ করে পরোটা।খাওয়া দাওয়া শেষ করে বের হয়ে পরলাম ঢাকার রাস্তায়।বাসায় যাবো আপাতত এইটাই গন্তব্য।বেলা ১২:৫১ তে রাস্তায় নামলাম।ফার্মগেট ওভারব্রিজের ওপর মিনিট পাচেক দাঁড়িয়ে থাকলাম,অহেতুক।
বাসে উঠতে হবে,৮ নং গাবতলি -যাত্রাবাড়ী বাসের নাম।উঠলাম, উঠেই ঘুম।লোকাল বাসে ঘুমানোর একটা ভালো দিক হলো হালকা ঝাকি লাগে,দোলনা দোলনা ভাব হয়।যেন আমি দোলনায় চড়ে বসেছি কেউ হালকা দুলুনি দিচ্ছে।ঘুম ভাঙল প্রেসক্লাবেএ সামনে দীর্ঘ জ্যামের মধ্যে।প্রেসক্লাবের সামনে অনেক আন্দোলন হচ্ছে।দাবি আদায়ের আন্দোলন।এর ভিতরে সবচে বেশি ভীড় মেডিকেলের যে আন্দোলন চলছে তার সামনে।আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রী দের চেয়ে উৎসুক জনতা বেশি।এর এক কারন হতে পারে মেডিকেল এর যেসব ছাত্রী সেখানে আন্দোলন করছে তারা সবাই মোটামুটি ভয়ানক সুন্দরী।
জ্যাম ছুটছেনা।আমার পাশে একটা আর্মি জিপ।ভিতরে বসে আছেন মেজর তানভীর মাহমুদ,ইঞ্জিনিয়ারস জিএসও এনডিসি।তিনি উশখুশ করছেন। সাধারণত জিপে যে ব্যক্তি সামনে বসেন তার ক্যাপ খোলার নিয়ম নেই কিন্তু তিনি ক্যাপ খুলে বসেছেন।আমি মোবাইল দিয়ে উনার ছবি তোলার ভান করলাম।উনি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন।আদৌ আমি কোনো ছবি তুলিনি কেননা আমার মোবাইলে চার্জ ছিলনা।নাহ জ্যামের চোটে আর ভাল্লাগসে না,বাস থেকে নেমে হন্টন শুরু করলাম।আমি যতবারই এইরকম জ্যামের কারনে বাস থেকে নেমে হাটা শুরু করছি ততবারই জ্যাম ছুটে গেছে। হাটতে হাটতে রাজধানী সুপার মার্কেট্ব্র সামনে চলে এলাম।টিকাটুলি মোড় একটা সিনেমা হল পেলাম।ছবির নাম রংবাজ।কিন্তু হলে কোনো এয়ার কন্ডিশন দেখতে পেলাম না।বেশ হতাশ লাগলো।টিকাটুলি -দয়াগঞ্জ হয়ে চলে এলাম যাত্রাবাড়ী।এই যাত্রাবাড়ীর মোড় পার হতে গেলে মোটামুটি মাথার চারদিকে ৮/১০ টা চোখ লাগে।আমার কাছে যাত্রাবাড়ী মানেই একটা ডিজনি পার্ক।৪/৫ দিক দিয়ে গাড়ি আসছে,যে যার মতো টেনে যাচ্ছে।পার হয়ে দ্ম নিলাম।সামনে আখের রস দেখলাম।একটা সিগারেট আর আখের রস খাওয়া শুরু করলাম।মানুষজন তাকিয়ে আছে।সম্ভবত আখের রসের সাথে সিগারেট এই প্রথম কাউকে খেতে দেখছে।অবশ্য আমার তাতে কিছু যায় আসেনা।আমি দেখছি দুইজন রিক্সাওয়ালার মারামারি।আমার মতো অনেকেই দেখছে।পুলিশও দেখছে।যেন সবাই লাইভ রেসলিং দেখছে।আমি বেশ আয়েশ করেই দেখলাম।হাতে আখের রস আর সিগারেট নিয়ে লাইভ রেসলিং। বাসায় আসতে আসতে ৩ টা বাজলো।আম্মু ইলিশময় রান্না করেছে।ইলিশ মাছ ভাজি,ইলিশ মাছ দিয়ে লাউশাক।খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুম দিলাম, টার্গেট ১০ টায় উঠে আবার খেয়ে ঘুম দেব। ঘুম ভেংগে গেল ৭ টার দিকে।ধ্যাত্তেরি!! এখন ১০ টা পর্যন্ত কি করি?
কৃতজ্ঞতা Lt. Shafique

জ্যাম ছুটছেনা।আমার পাশে একটা আর্মি জিপ।ভিতরে বসে আছেন মেজর তানভীর মাহমুদ,ইঞ্জিনিয়ারস জিএসও এনডিসি।তিনি উশখুশ করছেন। সাধারণত জিপে যে ব্যক্তি সামনে বসেন তার ক্যাপ খোলার নিয়ম নেই কিন্তু তিনি ক্যাপ খুলে বসেছেন।আমি মোবাইল দিয়ে উনার ছবি তোলার ভান করলাম।উনি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছেন।আদৌ আমি কোনো ছবি তুলিনি কেননা আমার মোবাইলে চার্জ ছিলনা।নাহ জ্যামের চোটে আর ভাল্লাগসে না,বাস থেকে নেমে হন্টন শুরু করলাম।আমি যতবারই এইরকম জ্যামের কারনে বাস থেকে নেমে হাটা শুরু করছি ততবারই জ্যাম ছুটে গেছে। হাটতে হাটতে রাজধানী সুপার মার্কেট্ব্র সামনে চলে এলাম।টিকাটুলি মোড় একটা সিনেমা হল পেলাম।ছবির নাম রংবাজ।কিন্তু হলে কোনো এয়ার কন্ডিশন দেখতে পেলাম না।বেশ হতাশ লাগলো।টিকাটুলি -দয়াগঞ্জ হয়ে চলে এলাম যাত্রাবাড়ী।এই যাত্রাবাড়ীর মোড় পার হতে গেলে মোটামুটি মাথার চারদিকে ৮/১০ টা চোখ লাগে।আমার কাছে যাত্রাবাড়ী মানেই একটা ডিজনি পার্ক।৪/৫ দিক দিয়ে গাড়ি আসছে,যে যার মতো টেনে যাচ্ছে।পার হয়ে দ্ম নিলাম।সামনে আখের রস দেখলাম।একটা সিগারেট আর আখের রস খাওয়া শুরু করলাম।মানুষজন তাকিয়ে আছে।সম্ভবত আখের রসের সাথে সিগারেট এই প্রথম কাউকে খেতে দেখছে।অবশ্য আমার তাতে কিছু যায় আসেনা।আমি দেখছি দুইজন রিক্সাওয়ালার মারামারি।আমার মতো অনেকেই দেখছে।পুলিশও দেখছে।যেন সবাই লাইভ রেসলিং দেখছে।আমি বেশ আয়েশ করেই দেখলাম।হাতে আখের রস আর সিগারেট নিয়ে লাইভ রেসলিং। বাসায় আসতে আসতে ৩ টা বাজলো।আম্মু ইলিশময় রান্না করেছে।ইলিশ মাছ ভাজি,ইলিশ মাছ দিয়ে লাউশাক।খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুম দিলাম, টার্গেট ১০ টায় উঠে আবার খেয়ে ঘুম দেব। ঘুম ভেংগে গেল ৭ টার দিকে।ধ্যাত্তেরি!! এখন ১০ টা পর্যন্ত কি করি?
কৃতজ্ঞতা Lt. Shafique
Comments
Post a Comment